মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল‘সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়ায় দু‘টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলিসহ ছামিউল মিয়া(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জের মুরাদপুর নামক স্থানে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বুধবার ২৩শে আগস্ট ২০২৩ইং দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। গ্রেপ্তারকৃত ছামিউল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম দীঘলটারী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে চেকপোস্ট বসিয়ে বুড়িমাড়ী থেকে ছেড়ে আসা নারায়নগঞ্জগামী পিংকী পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ছামিউল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসের জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
তল্লাশি চলাকালীন পালানোর সময় তাকে আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে তার দেহ তল্লাশি করলে দুই পায়ের উরুতে বিশেষ কৌশলে কসটেপ দিয়ে মোড়ানো পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রগুলো ভারতে তৈরি এবং সচল। ছামিউল রাজধানী ঢাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছামিউল বিষয়টি স্বীকার করে আমাদের জানিয়েছেন আদিতমারী থানার উত্তর গোবদা গ্রামের জয় নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্রের উৎস ও প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করতে তদন্ত চলমান রয়েছে।
এ ছাড়াও ঢাকায় কি কারণে এই অস্ত্রগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ সবগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছে। এ ঘটনায় বগুড়ার সাথে সীমান্তবর্তী সব জেলার মহাসড়কে চেকপোস্ট আরও জোড়দার করা হয়েছে। ছামিউলের বিরুদ্ধে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, শরাফত ইসলামসহ শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ ও মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল’সহ পুলিশের বিভিন্ন অফিসার বৃন্দ।
আজ বুধবার (২৩শে আগস্ট ২০২৩ইং) তারিখ বগুড়া জেলা পুলিশ কতৃক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করা হয়েছে।